ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ দেশের সমুদ্রসীমায় 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৫

দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ দেশের সমুদ্রসীমায় 
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় দুই মাস মাছ ধরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় দুই মাস মাছ ধরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সম্পর্কিত একটি আলোচনা সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এ সময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইন চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব অংশীজনকে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র‌্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং মৎস্য আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত